এই যে ভয় শব্দটার উপলব্ধি হতেই কেমন একটা শিহরণ গা চাড়া দেয়৷ যত আশা, আকাঙ্ক্ষা, ভালো, নিমেষের মধ্যে উবে যায় কর্পুরের মতো৷ শেষে যেন অবশিষ্টাংশ রূপে পড়ে থাকে জগতের যা কিছু খারাপ, অভিশপ্ত ভাবনাগুলো৷ দেখতে গেলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই নিজস্ব একটা করে ভয় আছে৷ এই ধরুন না চোখের সামনে উড়ন্ত আরশোলা দেখলে কেমন লাফিয়ে ওঠেন, আবার পরক্ষণেই চোখ ফেরাতে যদি দেখেন লাইট হোল্ডারে বসানো আপনারই ভৃত্যের আপনার কাটা মুন্ডু৷ কি ভয় পাবেন না? ধরুন নতুন বাড়িতে রাত্রে বেলায় খেয়ে দেয়ে নিশ্চিন্তে শুয়ে আছেন এমন সময় বাথরুমে যাবার প্রয়োজন হল৷ আর সেই বাথরুমের দরজা খুলতেই আপনার মুখে প্যাচাৎ করে ছিটকে এসে লাগল তরল৷ বিশ্রি আঁশোটে গন্ধওয়াল তরলটা আসলে রক্ত৷ গোটা বাথরুম রক্তে থক থক করছে৷ কিন্তু সেটা আসছে কোথা থেকে? বা ধরুন না নিজের মেয়ের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে ফিরে এসে দেখলেন ঘরময় মাকড়শার মত ছুটে বেড়াচ্ছে আপনারই মৃত মেয়ে৷ মায়াবী প্রকৃতির টানে সুন্দরবন ভ্রমণে গেল দুই ভাই৷ তারপর ওই অরণ্যানীর গহনে কি এমন ঘটল যা মনে করলে আজও ভয়ে হাত পা শুকিয়ে আসে বুবাইয়ের কোন অভিশাপ ঘরে নিয়ে এল অম্বরিশ? তার বাচ্চাদের উপর কাদের এত আক্রোশ? শেষমেষ কোন অশনি সংকেত ভেসে এল সেই অভিশপ্ত জিনিসটার অনন্ত গহ্বর থেকে? আধপোড়া মড়ার মাংসে কপ করে কামড় বসালো দেবব্রত৷ তারপর মরার খুলিতে মদ ঢেলে গল গল করে সেটা গলায় ঢালল৷ সাধনায় মগ্ন দেবব্রত কার দেখা পেল? মাঝরাত্রে টালিতে ঘর ঘর শব্দে ঘুম ভেঙে গেল সায়নীর৷ কিসের শব্দ ছিল ওটা? শেষ পরিণতি কি হলো দেবব্রতর? বইয়ের শেষ পাতায় আপনা থেকে ছেপে যাওয়া সেই চিঠির উৎস কোথায়?
Science fiction & fantasy